শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
প্রেম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন মাহফুজার রহমান। বিয়ের চার বছর পর ২০০৮ সালে স্ত্রী রজনীকে বাড়িতে রেখে মালয়েশিয়া যান। এরপর দীর্ঘ ১৪ বছর সেখানেই থাকেন। টাকা-পয়সা সবকিছুই স্ত্রী রজনীর কাছে পাঠাতেন মাহফুজার।
রজনীও তার সঙ্গে ফোনে গভীর সম্পর্ক রাখেন। তাই তাকে সন্দেহ করার কোনো কারণও ছিল না প্রবাসী মাহফুজারের। ১৪ বছর পর তিনি যখন দেশে ফিরলেন ঘটনা জানতে পেরে তার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। যে স্ত্রীকে এত বিশ্বাস করতেন, তার পাঠানো টাকায় জমি কিনেছেন, বাড়ি করেছেন; সেই স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে তারই এক মামাতো ভাইকে বিয়ে করেছেন। মাহফুজার রহমান বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের শৈলধুকড়ী গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও শাজাহানপুর আমলি আদালতে প্রতারণা এবং দেড় কোটি টাকার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্ত্রীসহ আটজনের নামে মামলা করেছেন মাহফুজার রহমান।
মাহফুজার রহমান জানান, তিনি প্রায় ১৪ বছর মালয়েশিয়ায় ছিলেন। এ সময় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, পৈতৃক সম্পত্তি ইজারার টাকাসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা তার স্ত্রী রজনীকে দিয়েছেন। গত ২০ জানুয়ারি তিনি দেশে ফেরেন। নিজের টাকায় নির্মিত বাড়িতে উঠতে গিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী রজনী তাকে তালাক দিয়ে মামাতো ভাই রেজাউল করিমকে বিয়ে করে সেই বাড়িতে বসবাস করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রজনী খাতুন বলেন, মাহফুজার রহমান আমাকে কোনো কিছুই দেয়নি। নিজ প্রয়োজনে আবার বিয়ে করেছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আইনজীবী উৎপল কুমার বাগচি জানান, আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৮ মের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।